ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম পুলিশের ভূমিকা অত্যান্ত গুরত্বপূর্ণ। ইউনিয়নের প্রত্যেক অঞ্চলে পৌছে তথ্য আদান প্রদান। বিভিন্ন ধরনের খবরাখবর আদান প্রদান। মামলার নেটিশ প্রেরন ও বিভিন্ন কর্মকান্ডে গ্রাম পুলিশের ভূমিকা অপরিহার্য।
গ্রামাঞ্চলের জনসাধারণ ও তাদের মালামালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা ইউনিয়ন পরিষদের অন্যতম দায়িত্ব। এ দায়িত্ব পালনের জন্য প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদ মহল্লাদার ও দফাদার নিয়োগ করেছে। মহল্লাদার ও দফাদারদের কাজ হচ্ছে ইউনিয়নের গ্রাম ও মহল্লায় প্রহরার ব্যবস্থা করা এবং পুলিশকে অপরাধ দমনে যথাসাধ্য সাহায্য করা । সন্দেহ জনক কোন ব্যক্তি বা কোন কারণে ইউনিয়নে শান্তি বিঘ্নিত হতে পারে এমন কোন পরিস্থিতির উদ্ভব হলে সে সম্বন্ধে থানার ওসিকে মহল্লাদার ও দফাদার অবহিত করে এবং ১৫ দিনে অন্তত একবার তার কাছে রিপোর্ট করে। ইউনিয়নের কোন প্রকার মহামারীর আশংকা দেখা দিলে বা কোন বাধ বা সেচ প্রকল্পের কোন ক্ষতির সম্ভাবনা হলে বা ইউনিয়ন পরিষদের কোন সম্পত্তি অন্যায় দখল হলে,ইউনিয়ন পরিষদকে তা তখনই জানায়। তাছাড়া রেললাইন, টেলিফোন বা টেলিগ্রাম বা ইলেকট্রিক লাইন,টিউবওয়েল এবং অন্যান্য সরকারী সম্পত্তি ক্ষতির সম্মূখীন হলে জনসাধারণ বা মহল্লাদার ও দফাদার ইউনিয়ন পরিষদকে জানিয়ে থাকে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে মহল্লাদার ও দফাদাররা ম্যাজিস্ট্রেটের হুকুম ও ওয়ারেন্ট ছাড়াই গ্রেফতার করতে পারে যেমন–কেউ যদি কোন আদালত অগ্রাহ্য অপরাধ করে,বা কারো কাছে কোন সিদেল যন্ত্র বা চোরাই মাল থাকে বা কেউ হাজত থেকে পালিয়ে গ্রামে আত্মগোপন করে ইত্যাদি।কিন্তু তাদেরকে যতশীঘ্র সম্ভব থানায় সোপর্দ করতে হবে। এছাড়া মহল্লাদার এর আরেকটি অন্যতম প্রধান কাজ হচ্ছে জন্ম ও মৃত্যু রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করা।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস